ভ্রমণকাহিনী - যশোর টু খুলনা
ভ্রমণকাহিনী - যশোর টু খুলনা
তোফায়েল আলম
নবম ব্যাচ
তখন ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা দিতে ছিলাম।যশোর টু খুলনা বাসে যাত্রা ছিল।পথিমধ্যে বাবার সাথে বাসে উঠলো এক রমণী। সাথে ছিল ছোট্ট ভাইও।সীট খালি ছিল না বলে দাঁড়িয়েই যাইতেছিল।জানালার পাশে সীটে বসে আছি আমি।আর উল্টো দিকে ঘুরে তাকিয়ে আছে যেন আমার দিকে সেই রমণী। আমিও মায়ায় পড়ে গেলাম তার চাহনিতে।শুনেছিলাম চোখে-চোখে নাকি কথা হয় মানুষের। আমিও প্রমাণ পেয়ে ছিলাম সেদিন।আর ঠান্ডা জনিত কারণে আমি পূর্ব থেকেই মাস্ক ব্যবহার করতাম বলে আমার চোখ দুটিই দেখতে পারছিল উনি বেশি।বাসের গতি আর পথের দূরত্ব যত বাড়তে ছিল ঠিক আমাদের চোখে-চোখে আড্ডাটাও বাড়তেছিল।হঠাৎ বাস থামলো, আমার পাশের সীটের লোক উঠে গেল চলে যাবে বলে।ভাবলাম এবার রমণীটি হইত আমার সাথে ফাঁকা সীটে বসে যাবে আর আড্ডাটাও ভালো জমবে।কিন্তু তা আর হলো না।সে তাড়াহুড়ো করতে ছিল আর ছটফট করতেও ছিল।তার বাবা নেমে গেল।মানে তারা গন্তব্যে এসেছিল।তাই বাধ্য হয়ে রমণীও নেমে গেলো আর দুচোখ দিয়ে চেয়ে চেয়ে রইলো সাথে আমিও বটে চেয়ে চেয়ে পথ শেষ হলো।ভীষণ মনে পড়তে ছিল দৃশ্যটি।ক্ষনিকের মায়া না ছাড়তে পেরে মনে পড়লো যে,এক মিনিট,একদিন,এক মাস,এক বছর,এক যুগ এভাবে শতবছর মানুষ মানুষের মায়ায় পড়ে,প্রেমে পড়েও তো শেষ বিদায় নিতেই হয়।তাই তোমাকেও আমি বিদায় জানিয়েছিলাম ওগো ক্ষনিকের জন্ম হওয়া প্রিয়।ভালো থেকে যেখানেও থেকো।
No comments