SARSTEC সুঁই-সুতার পাশে,বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র(বরিশাল)
![]() |
Sui-Suta,SARSTEC |
বই পড়ার নেশাটা ছিল সেই ছোট বেলা থেকেই।নিজের কেনা বই না থাকলেও বই জোগাড় করে পড়ার অভ্যাস ছিল।আর লাইব্রেরি সেই মনের ইচ্ছেটা পূরণ করতো।
ইন্টারমিডিয়েট লাইফে নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছিলো।ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ছিলো সুবিশাল এক লাইব্রেরি। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কত যে গল্পের বই পড়ে কাটিয়েছি তার হিসাব নেই।
তারপর কলেজ জীবন শেষ করে ক্যাম্পাস জীবনে পদার্পণ করলাম,সেই ঠিকানা হল শহীদ অাবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,বরিশাল। যা সকলের কাছে সারসটেক নামে পরিচিত।পেয়ে গেলাম আরো একটা লাইব্রেরি।বই পড়ার নেশা অাবার পেয়ে বসল মাথায়।পড়তে পড়তে প্রায় ৯০% সাহিত্য বিষয়ক বই পড়া হয়ে গেল সারসটেক লাইব্রেরীর।মাঝখানে বেঁধে গেলো এক ঝামেলা।বই নিতে গিয়ে দেখি প্রধান অফিস সহায়ক লাইব্রেরীয়ান নাই,তাই এক ঘন্টা পর নিতে হবে বই বললো সহকারি লাইব্রেরীয়ান। কারণ তারকাছে না কি চাবি থাকে না।
সরাসরি গিয়ে জানালাম তৎকালীন অধ্যক্ষ সাত্তারস্যারের কাছে।ফলাফল সেদিন থেকেই সহকারী লাইব্রেরীয়ানের কাছে আরেকটা ডুপ্লিকেট চাবি।যতদিন ক্যাম্পাসে ছিলাম ততদিন আমার লাইব্রেরি কার্ড টি ছিলো সহকারি লাইব্রেরীয়ানের কাছে।কেননা প্রতিদিনই আমার কাছে কোন না কোন বই থাকতো।লাইব্রেরির বইগুলো যখন শেষের পথে তখন মোবাইলে পিডিএফ পড়া শুরু করলাম। পিডিএফ খুঁজতে খুঁজতে পরিচিত হলাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাথে।যার নাম অনেক ছোট থাকতে খবরের কাগজে পড়েছিলাম।
"গাড়ি ভিতরে নিয়ে আসেন কোন সমস্যা নেই।"
কিছুদিন যাওয়ার পর আমরা বিশ্বসাহিত্যের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ পেতাম।আমি,প্রান্ত,নাইম আর কয়েকজন যেতাম।আমাদের ক্যাম্পাস কেউ চিনতো অার কেউ চিনতো না।আমরা স্বগর্বে পরিচিত হলাম। একসময় নাইম প্লান করলো আমাদের একটা দেয়ালিকা বের করা দরকার।সবার অক্লান্ত চেষ্টায় সফল ও হলো।কিন্তু নাম নিয়ে বাঁধলো বিভ্রান্ত।কি নাম হবে তা ঠিক করা যাচ্ছিলো না।তখন নাম আহ্বান করা হলো গ্রুপে।শেষমেশ অনেক নামের মাঝে আমার দেওয়া "সুঁই-সুতা" নামটা গৃহীত হলো।
এখন ভালোই লাগে যখন দেখি নিয়মিত স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস,পহেলা বৈশাখ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে।সুঁই-সুতা দেয়ালিকা বের হয় বের হয়।সুঁই-সুতাকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র স্পন্সর করে।দূরে থেকে দেখতে ভালো ই লাগে তখন।মনে হয়, আমাদের তখনকার কষ্টটা সার্থক হয়েছে। কষ্টটা বৃথা যায় নি।সুঁই-সুতার সাথে জড়িত সকলকে অনেক অনেক ভালোবাসা জানাই।ভালো থাকুক সকল বইপোকা।ভালো থাকুক সুঁই-সুতা।ভালো থাকুক প্রাণের ক্যাম্পাস।
ইন্টারমিডিয়েট লাইফে নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছিলো।ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ছিলো সুবিশাল এক লাইব্রেরি। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কত যে গল্পের বই পড়ে কাটিয়েছি তার হিসাব নেই।
তারপর কলেজ জীবন শেষ করে ক্যাম্পাস জীবনে পদার্পণ করলাম,সেই ঠিকানা হল শহীদ অাবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,বরিশাল। যা সকলের কাছে সারসটেক নামে পরিচিত।পেয়ে গেলাম আরো একটা লাইব্রেরি।বই পড়ার নেশা অাবার পেয়ে বসল মাথায়।পড়তে পড়তে প্রায় ৯০% সাহিত্য বিষয়ক বই পড়া হয়ে গেল সারসটেক লাইব্রেরীর।মাঝখানে বেঁধে গেলো এক ঝামেলা।বই নিতে গিয়ে দেখি প্রধান অফিস সহায়ক লাইব্রেরীয়ান নাই,তাই এক ঘন্টা পর নিতে হবে বই বললো সহকারি লাইব্রেরীয়ান। কারণ তারকাছে না কি চাবি থাকে না।
সরাসরি গিয়ে জানালাম তৎকালীন অধ্যক্ষ সাত্তারস্যারের কাছে।ফলাফল সেদিন থেকেই সহকারী লাইব্রেরীয়ানের কাছে আরেকটা ডুপ্লিকেট চাবি।যতদিন ক্যাম্পাসে ছিলাম ততদিন আমার লাইব্রেরি কার্ড টি ছিলো সহকারি লাইব্রেরীয়ানের কাছে।কেননা প্রতিদিনই আমার কাছে কোন না কোন বই থাকতো।লাইব্রেরির বইগুলো যখন শেষের পথে তখন মোবাইলে পিডিএফ পড়া শুরু করলাম। পিডিএফ খুঁজতে খুঁজতে পরিচিত হলাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাথে।যার নাম অনেক ছোট থাকতে খবরের কাগজে পড়েছিলাম।
তারপর খুঁজে বের করলাম বিশ্বসাহিত্যে কেন্দ্রের বরিশালের শাখা।সদস্য হলাম।রুটিন বিবরণীতে দেখলাম অনেক দূরের দূরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তালিকায় আছে অথচ বরিশালের প্রাণকেন্দ্রে থাকা সত্ত্বেও আমাদের ক্যাম্পাস নেই।
আমাদের ক্যাম্পাসের কথা জানাতেই বললো সেখানের কেউ তো সদস্য নেই।তবে কয়েকজন সদস্য হলে সময় দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবো আমরা।কয়েকজন সদস্য হলাম আমরা। তারপর তৎকালীন বিশ্বসাহিত্যের তত্ত্বাবধায়ক মফিজুল ভাই আমাদের ক্যাম্পাসে আসার ব্যবস্থা করলেন।আমি আর বন্ধু নাইম তাকে নিয়ে গেলাম অধ্যক্ষ স্যারের কাছে। এসে দেখি আরেক ঝামেলা আমাদের অধ্যক্ষ স্যার নেই।এগিয়ে এলেন আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় রেজিস্টার আনোয়ার স্যার।তিনি বললেন,
"গাড়ি ভিতরে নিয়ে আসেন কোন সমস্যা নেই।"
কিছুদিন যাওয়ার পর আমরা বিশ্বসাহিত্যের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ পেতাম।আমি,প্রান্ত,নাইম আর কয়েকজন যেতাম।আমাদের ক্যাম্পাস কেউ চিনতো অার কেউ চিনতো না।আমরা স্বগর্বে পরিচিত হলাম। একসময় নাইম প্লান করলো আমাদের একটা দেয়ালিকা বের করা দরকার।সবার অক্লান্ত চেষ্টায় সফল ও হলো।কিন্তু নাম নিয়ে বাঁধলো বিভ্রান্ত।কি নাম হবে তা ঠিক করা যাচ্ছিলো না।তখন নাম আহ্বান করা হলো গ্রুপে।শেষমেশ অনেক নামের মাঝে আমার দেওয়া "সুঁই-সুতা" নামটা গৃহীত হলো।
এখন ভালোই লাগে যখন দেখি নিয়মিত স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস,পহেলা বৈশাখ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে।সুঁই-সুতা দেয়ালিকা বের হয় বের হয়।সুঁই-সুতাকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র স্পন্সর করে।দূরে থেকে দেখতে ভালো ই লাগে তখন।মনে হয়, আমাদের তখনকার কষ্টটা সার্থক হয়েছে। কষ্টটা বৃথা যায় নি।সুঁই-সুতার সাথে জড়িত সকলকে অনেক অনেক ভালোবাসা জানাই।ভালো থাকুক সকল বইপোকা।ভালো থাকুক সুঁই-সুতা।ভালো থাকুক প্রাণের ক্যাম্পাস।
পারভেজ
খান
৩য় ব্যাচ
No comments