সম্পাদকীয়
বিদায়!
এই শব্দটা মাত্র তিন অক্ষরের। কিন্তু, এর আপাদমস্তক অনুভব করা এতটা সহজ না। প্রত্যেকটা বিদায় কিংবা বিচ্ছেদে নীল কষ্ট হয়। মানবজীবনে হাজারো বিদায়ের সম্মুখীন হতে হয়। আর এক একটা বিদায় নতুন কিছুর শুরু করে। সেরকমই প্রতি বছর শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একগুচ্ছ প্রস্ফুটিত ফুল ছড়িয়ে পরে দেশ বিদেশে। কিন্তু, প্রতিবছরের এই সাময়িক প্রস্থান বড়ই বেদনাতুর করে তোলে। অন্যদিকে বিদায় বেলা আনন্দেরও হতে পারে। বিদায় বেলায় সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছু পাওয়ার স্মৃতি বা ভবিষ্যৎ সাফল্যের আশা মানব মনকে সন্তুষ্টি এনে দিতে পারে। সেই সন্তুষ্টির মাত্রা আরও বাড়াতে ৫ম ব্যাচের প্রস্থানলগ্নে অত্র কলেজের সুনামধন্য দেয়ালপত্রিকা সুঁই-সুতা গ্র্যাজুয়েশন সংখ্যা প্রকাশ করলো। সংখ্যাটিকে মুলত আমরা গ্র্যাজুয়েশন কেন্দ্রিক সাজাতে চেয়েছি। লেখক-লেখিকাগন ও সুঁই-সুতা পরিবারের সদস্যবৃন্দ কতটুকু সফল হয়েছে তা পাঠকেরাই হয়তো বলতে পারবে। আর এই সংখ্যাটিও দেয়ালপত্রিকার পাশাপাশি অনলাইন ভার্সনেও প্রকাশিত হচ্ছে। আমাদের সকলের চেষ্টা, শ্রম, ধৈর্য্য আর লেগে থাকার কারণে প্রতিনিয়ত সুঁই-সুতা অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতার বীজ রোপণ করে যাওয়া আল নাঈম ভাইকে সুঁই-সুতা পরিবার চিরকাল স্মরণ করে রাখবে। ধারাবাহিকভাবে এর হাল ধরেছিলেন ইসরাত জাহান লিজা আপু, তারপর আব্দুস সালাম ভাই ও অন্যান্য সকল ভাইয়া-আপুরা। সুঁই-সুতা ও সকল ব্যাচের বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গল কামনা করছি। তারা ফুলের সুবাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিক। দিকে দিকে সার্স্টেশিয়ানদের জয় হোক।
তৌকির আহম্মেদ তমাল
সম্পাদক, সুঁই-সুতা, ৬ষ্ঠ ব্যাচ
No comments