সুব্রত অধিকারী
১ম কবিতার নামঃ
জানি ওখানে কষ্ট,
সহস্র হাঁটু কষ্ট।
ওখানে হাত রাখলে পুড়ে যাবো
ছিদ্র বেলুনের মত চুপসে যাবো।
কড়ায়ের গরম তেলে সাঁতরে যাবো
ফাগুন দিনেও আগুন মাখবো।
এর চেয়ে বিষ পান শ্রেয় কিনা!
বিষের ছিপি খুলে পানে
মন সাড়া দেয় ঘাড় নেড়ে।
অবশেষে ব্যর্থ মন কিনা!
স্লো পয়জন ঠোঁট ছু্ঁয়ে যায়
বালিশ পাশে আদর বোলায়।
তোমাকে বুকে রেখে আহ্লাদে
আটখানা হই না প্রভাতে।
টুকরো টুকরো হই কিনা!
২য় কবিতার নামঃ
আত্মঘাতী
সর্বশেষ বার্তা আমার নিকটে ক্ষণস্থায়ী দোলায় দুলছিল,
হয় আত্মঘাতী হই না হয় পালিয়ে যাই
তোমার হৃদয়ের দূরে চলে যাই।
আত্মঘাতী হলে আমার কাল্পনিক গল্পের গায়ে বিন্দু বিন্দু সহস্র রক্ত জমবে,
মৃত্যুর পরে তোমায় ভোলার স্বাদ নিয়ে,
তোমায় সাথে নেওয়ার ইচ্ছাগুলোকে কারাবন্দীতে রাখা যাবে!
তোমায় দেখার আনন্দ মিছিলের মৃত্যুতেও বিমর্ষ হৃদয় ক্লান্তির ছুটি পায় নি।
দরকার ছিল না ক্লান্তির ছুটির!
তোমার পিছে চলতে চলতে পা ব্যাথায় কাতর হলে,
সাহায্য ছাড়াই ছুটিয়ে দিতাম হৃদয়ের রথ।
আত্মঘাতী হলে পাওয়া হত না জানা হত না,
আমার দুঃখের মর্মমূলের গভীরে ফুটে থাকা অগ্নি পদ্মের সন্ধান!
তাই আমি পালিয়েছি,
কাছে যেতে যেতে পালিয়েছি তোমার কাছের দহন দ্বারের পাড়ে।
আত্মঘাতী হই নি তোমাকে না ভোলার তাগিদে।
লিখেছেনঃ সুব্রত অধিকারী, ৫ম ব্যাচ
No comments